বি’য়ের মাত্র দুই ঘণ্টা পর না ফে’রার দেশে চলে গেলেন বীথি! ভাঙা ভাঙা গলায় জা’নালেন শেষ ইচ্ছে!

শ্বাস নিতে অ’নেক কষ্ট হচ্ছিল ত’রুণীর। এমনকি কথাও বলতে স’মস্যা হচ্ছিল। ভাঙা ভাঙা গলায় কেবল ব’লেছিলেন শেষ ইচ্ছার কথা। তিনি জা’নিয়েছিলেন,মনের মানুষটা যেন এ’কবার তার সিঁথি রাঙিয়ে দেন। প্রে’মিকার শেষ ইচ্ছা পূরণে কসুর করেননি সু’ব্রত। ১০ বছর ধরে তো এই দিনটার অ’পেক্ষায় ছিলেন তিনি।

মেয়ের কথা মতো, হাসপাতালের ই’ন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটেই হ’য়েছিল ব্যবস্থা। সেখানেই মনের মানুষকে সি’দুঁর পরিয়ে আপন করে নিয়েছিলেন। কিন্তু, আ’টকে রাখতে পারলেন না।

সিঁদুর পরিয়ে দে’য়ার মাত্র দুই ঘণ্টা পর না ফেরার দেশে চলে গেলেন বীথি। জানা গেছে, ছো’টবেলার পরিচয় খুব স’হজেই গাঢ় হয়েছিল।ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখতে শুরু ক’রেছিলেন। সদ্য যৌ,ব,নে পা রাখা দুটো মন নিজেদের মতো করে জী’বন গড়ার স্বপ্ন দেখছিল। তবে হঠাৎ জানা গেল, মনের মানুষটা জ’টিল রোগে আ’ক্রান্ত।

ভারতের শি’লিগুড়ির ডাবগ্রামের দাস বা’ড়ির ছোটো মে’য়েটাকে দেখে ভালো লেগেছিল উত্তর দিনাজপুরের সু’ব্রত কুণ্ডুর।সেই ভালোলাগা ভালোবাসায় প’রিণত হতে খুব একটা সময় নেয়নি। যখন দুজন এক সঙ্গে অ’নেকটা পথ পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন দেখছিল, তখনই সামনে আসে বী’থির অসুখের কথা।

শুরু হয় চি’কিৎসা। শুরু হয়েছিল কেমো থে’রাপি। যার জেরে মাথায় চুল প্রায় স’বটাই উঠে যেতে থাকে। আস্তে আস্তে বু’ড়িয়ে যেতে থাকেন বীথি।হা’রিয়ে যেতে থাকে যৌ,ব,নে,র সেই লাব’ণ্য। তখন ২০১৭ সাল। এ’কটি হাতও কেটে বাদ দিতে হয়। ফু’টফুটে মে’য়েটা নিজেকে গুটিয়ে নিতে থাকে স’কলের কাছ থেকে।

কিন্তু, সে দিনও একটি বারের জন্য প্রে’মিকার কাছ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখেননি পেশায় বে’সরকারি সংস্থার কর্মী সুব্রত। পাশে থেকেছেন, সা’হস দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।হাতে হাত ধরে ব’লেছিলেন লড়াই করার কথা। চিকিৎসার প্রয়োজনে কখনো মুম্বই, কখনো শি’লিগুড়ি যেতে হয়েছিল বী’থিকে। কখনো বী’থিকে সঙ্গ ছাড়া করেননি সুব্রত।

প্রথমে না জানলেও ত’তদিনে সুব্রতর পরিচয় জানা হয়ে গেছে দাস প’রিবারের সকলের। এক দিন মেয়ের মো’বাইলে চোখ পড়তেই সব স্পষ্ট হয়ে যায় কালিপদ দাসের।বোন ক্যা’ন্সারে আ’ক্রান্ত মেয়ের ভবিষ্যৎ জা’নলেও সাহস পাননি বাধা দেওয়ার। কিন্তু, বাস্তব আর স্ব’প্নের মধ্যে পার্থক্য আকাশ-পাতাল। শক্তি জো’গানোর কথা বললেও, বীথির শরীর কিন্তু ধীরে ধীরে শেষ হয়ে আ’সছিল। হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে। গত শ’নিবার ঠিক মতো কথাও বলতে পা’রছিলেন না। বারবার বুজে আ’সছিল চোখ।

চিকিৎসকরাও আশা ছেড়ে দি’য়েছিলেন। তখনই মুখ ফুটে শেষ ইচ্ছার কথাটা ব’লেন বীথি। মে’য়ের সেই ইচ্ছার মর্যাদা দেন তার বাবা-মা।আয়োজন করা হয় বি’য়ের। বীথির নাকে তখন অ’ক্সিজেন মাস্ক। স্বপ্ন পূরণের কিছু মু’হূর্ত পরেই বি’ছানায় ঢলে পড়েন বীথি। তখনো একটা হাত সু’ব্রতর হাতে ধরা। শরীরটা আস্তে আস্তে নি’স্তেজ হয় পড়তে থাকে।

চিকিৎসকরা শেষ চেষ্টা শুরু ক’রার আগেই সব শেষ। চোখের সামনেই বী’থিকে শেষ বিদায় দিলেন সুব্রত। মে’য়েকে হারালেও যেন একটা ছেলে পেলেন বীথির বাবা-মা। তারা বলেছেন, মে’য়ের কঠিন সময় যেভাবে সুব্রত পাশে ছিল, তা ক’থায় প্রকাশ করতে পারব না। মেয়েকে হা’রিয়েছি কিন্তু, এমন একটা ছেলেকে পাবো ভাবতেও পারিনি।

আর সু’ব্রতের তখনো চোখের কোণায় চিক চিক করছে বিন্দুগুলো। শত চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হলো না। কথা জ’ড়িয়ে আসছে। একটু যেন একলা থাকতে চা’ইছেন। চার পাশের পরিবেশটা তখন সু’ব্রতের কাছে বড্ড অচেনা। তখনো ভাবেননি কী করবেন। বাকি জী’বনটা কি একলাই কাটাবেন তিনি। স্মৃতিটুকু সম্বল করেই কা’টাবেন বাকি জীবন।